Ads 728×90
Ads 728×90
কেউ অসুস্থ হলে আমরা প্রথমেই ভাবি, তার রক্তচাপ বেড়ে গেল কি না। এই রক্তচাপ দিয়ে মূলত বোঝানো হয় ব্লাড প্রেশার অর্থাৎ দেহের ভেতরে প্রবাহিত রক্তের চাপ। যখন ধমনীগুলোতে রক্তের চাপ বেশি থাকে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার বলা হয়ে থাকে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের খাবার কেমন হওয়া উচিত,কোন কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত তা নিয়েই আলোচনা করব।
কিছু নিয়ম মেনে চললে এবং খাবারে কিছু বাধা-নিষেধ মানলেই অনায়াসেই একে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
আজকাল প্রায় বাসা-বাড়িতে কমবেশি যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন এর একটি প্রবণতা দেখা যায়।
আগে ধারনা করা হত যে বেশী বয়সের মানুষরাই উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকে। এ ব্যাপারটা আসলে সঠিক না। অনেক কম বয়সের লোকেদেরও উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা থেকে থাকে।
সাধারণত অধিক ওজন, অতিরিক্ত ফাস্টফুড ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে অনেকের খুব কম বয়সেও এই সমস্যায় দেখা দিতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশারকে নীরব ঘাতক বলা হয়। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন। শুধু বয়স্ক নন, যেকোনো বয়সের মানুষেরই হাই ব্লাড প্রেশার থাকতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভাসের ঘাটতির কারণে যে কারোরই এটি হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ হলে প্রথম যেটা করনীয় সেটা হচ্ছে, ডাক্তারের কাছে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ গ্রহণ করা। সেইসাথে আপনার খাবার নিয়ন্ত্রণ করা অনেক বেশি জরুরী।
কেননা আপনাকে বুঝতে হবে যে, উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্টফেল, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে। সেজন্য অবশ্যই প্রত্যেক রোগীর উচিত তার রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।
খাবার ছাড়াও আরেকটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আর সেটা হল আপনার ওজন। অতিরিক্ত ওজন উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
তাই অবশ্যই আপনার সঠিক ওজন বজায় রাখতে হবে। আপনার সঠিক ওজন বয়স, উচ্চতা ও শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে নির্ণয় করা হয়।
প্রতিদিন নিয়ম করে কিছু সময় ব্যায়াম করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন, নিজেকে ও আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ এবং ঝুকিমুক্ত রাখুন।